মাটির উপরের পানি ব্যবহার করে সেচ
মাটির নিচে কমছে পানি, মোটেই বাড়ছে না যে,
বিল, নদী আর বৃষ্টি, ছড়া, জোয়ার লাগুক কাজে।
বারোটা মাস সব জমিতেই ফলতে থাকুক সোনা,
চর, খরা বা হাওড়, পাহাড় কিংবা যেথায় লোনা।
বিল, নদী আর বৃষ্টি, ছড়া, জোয়ার লাগুক কাজে।
বারোটা মাস সব জমিতেই ফলতে থাকুক সোনা,
চর, খরা বা হাওড়, পাহাড় কিংবা যেথায় লোনা।
মাটির উপরের পানি
বাংলাদেশে মাটির উপরে পানির বিভিন্ন উৎসের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য নদ-নদী, হ্রদ ও জলা, হাওর, বাঁওড়, খাল, বিল, ঝিল, দীঘি, পুকুর, প্লাবিত কৃষিজমি, পরিত্যক্ত নদীখাত, শুকনো নদীপৃষ্ঠ, খাড়ি, ঝর্ণা ও স্রোতজ বা গড়ান জলাভূমি। বাংলাদেশে এরূপ উৎস দেশের মোট ভূভাগের প্রায় অর্ধেক। সামগ্রিক আয়তন বিচারে দেশের নদী এলাকা ৭,৪৯৭ বর্গকিলোমিটার, খাড়িসমূহ ও স্রোতজ গড়ান জলমগ্নভূমি ৬,১০২ বর্গকিলোমিটার, বিল ও হাওর ১,১৪২ বর্গকিলোমিটার, বন্যাপ্লাবিত প্লাবনভূমি ৫৪,৮৬৬ বর্গকিলোমিটার, কাপ্তাই লেক ৬৮৮ বর্গকিলোমিটার, পুকুর ১,৪৬৯ বর্গকিলোমিটার, বাঁওড় ৫৫ বর্গকিলোমিটার এবং অন্যান্য মিলিয়ে প্রায় ৭২,০০০ বর্গকিলোমিটার। পাশাপাশি, সমগ্র বাংলাদেশে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ২,০০০ মিলিমিটার বা সাড়ে ৬ ফুট বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
পানি সেচে কৃষিকাজ
নদীমাতৃক বাংলাদেশে কৃষি আবাদের জন্য একসময় নদী-নালা, পুকুর বা জলাধারের পানি ব্যবহৃত হলেও সত্তরের দশকের শুরুতে কৃষিকাজের জন্য প্রথম ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার শুরু হয়, আশির দশকে যার ব্যাপকতা পায়। ষাটের দশকে ৫০ ফুট নিচ থেকে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উঠানো গেলেও এখন ১৫০ ফুট নিচ থেকে পানি তুলতে হয়। উত্তোলিত পানির ৮৭% সেচকাজে ব্যবহৃত হওয়ায় স্তর নেমে যাওয়ার প্রধানতম কারণ সেচব্যবস্থা। শুধুমাত্র বোরো মৌসুমে প্রতিবছর যে হারে পানি সেচের জন্য ভূ-গর্ভ থেকে তোলা হয়, সে পরিমাণ পানি মাটির নিচে যায় না। ফলে পানির স্তর আরও নিচে নেমে যায়। বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ নলকূপ রয়েছে যেগুলোর সামগ্রিক উত্তোলনে আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে।
কৃষি সমৃদ্ধির দেশ
বাংলাদেশের মোট আবাদী জমির পরিমাণ ৮৫ লক্ষ হেক্টর যার মধ্যে ৭১ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ এর মাধ্যমে কৃষিকাজ চলমান। এই সেচ এর প্রায় ৭৮% শতাংশ পুরোপুরি ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল। এই পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা অর্জিত হয়েছে প্রায় ১৯০%। গড়ে প্রতি বছর আবাদী জমির ১% হ্রাসমান হার নিয়েও বিগত ৪ দশকে বাংলাদেশে ধান উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ, গম ২ গুণ, সবজি ৫ গুণ, ভুট্টা ১০ গুণ। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাকে আরো সুসংহত করতে দেশের ক্রমহ্রাসমান আবাদী জমিতে বাড়াতে হবে শস্যের নিবিড়তা তথা আবাদের পরিমাণ। আবাদযোগ্য কিন্তু পতিত প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর জমিকেও আনতে হবে আবাদের আওতায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন হবে বাড়তি সেচ, বেড়ে যাবে ভূ-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন।
বিকল্প কিছুই কি করার নেই?
বিকল্প কিছুই কি করার নেই?

প্রস্তাব জমা দেবার শেষ তারিখ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

যে সকল অঞ্চলের জন্য
যে সকল অঞ্চলে মাটির উপরের পানি ব্যবহার করে সেচ কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে
প্রস্তাব জমা দেবার শেষ তারিখ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রক্রিয়া
চ্যালেঞ্জ ফান্ডের ধাপ পরিক্রমা

নিবন্ধন ও আইডিয়া প্রদান
আপনার নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করুন। কোন চ্যালেঞ্জটি কিভাবে মোকাবেলা করতে চান, সেই আইডিয়া সম্পর্কে নির্ধারিত ফর্মটি পুরণ করুন।

বাছাই থেকে চুড়ান্ত বিজয়
আপনার আইডিয়া বাছাইকৃত হলে আইডিয়াটি সমৃদ্ধকরণে সহযোগিতা করা হবে। বিজয়ী নির্বাচন প্যানেলের সামনে আপনি আইডিয়াটি উপস্থাপন করবেন।

কার্যকর নমুনা প্রস্তুতকরণ
বিজয়ী নির্বাচিত হলে প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আপনি আইডিয়াটির ব্যবহার উপযোগী এক বা একাধিক প্রমাণ আকারের কার্যকর নমুনা প্রস্তুত করবেন।

পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন
তৈরীকৃত নমুনাটি আপনি আপনার নির্দিষ্টকৃত এলাকায় বাস্তবায়ন করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করবেন।

দেশব্যাপী প্রসার ও বিস্তার
আপনার আইডিয়াটির পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন সফল হলে আপনার স্বীকৃতি সহ প্রযুক্তিটি দেশব্যাপী প্রসার ও বিস্তারে কৃষি মন্ত্রণালয় ভূমিকা পালন করবে।
প্রস্তাব জমা দেবার শেষ তারিখ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রয়োজনে আমাদের লিখুন
আপনার যে কোন প্রয়োজন, অনুসন্ধান, মতামত কিংবা পরামর্শ আমাদের জানান, আমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার সাথে যোগাযোগ করব ।