প্রকল্প সমূহ

সরকারি পরিষেবার অডিও নির্দেশনা
জাতীয় বিনোদন পোর্টাল

রোগীর যত্নের প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান


সময়মতো ওষুধ দেওয়া, নোংরা কাপড় পরিবর্তন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ খাবার প্রস্তুত, ইনজেকশন দেওয়া, ডায়াপার ও ক্যাথেটার পরিবর্তনসহ প্রভৃতি কার্যক্রম থাকে রোগী সেবার ক্ষেত্রে। কিন্তু বিশেষ প্রশিক্ষণ না থাকায় নার্সরা এটা সঠিক উপায়ে করেন না। এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষিত নার্সদের জন্য একটা চাকরির পোর্টাল তৈরি করা হবে, যা বাড়িতে, ক্লিনিকে কিংবা হাসপাতালে রোগী ও বয়স্কদের সব ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকবেন। এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে পুরুষ ও নারী নার্সদের ওয়েব পোর্টালে যুক্ত করা হবে। যেটা দুই মাসের দূরবর্তী শিখন কার্যক্রম এবং নারায়ণগঞ্জ পলি ক্লিনিক অথবা পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ দিন হাতে-কলমে মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এককভাবে কোনো রোগী কেমন যোগ্যতার নার্স চাচ্ছেন সেটা কোন কোন প্রয়োজনে সেটা জানাতে পারবেন। এর মাধ্যমে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী রোগীদের দোরগোড়ায় বিশেষ নার্সিং সেবা পৌঁছে যাবে।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

রোগীর সেবা একটি পরিপূর্ণ প্যাকেজ, যেখানে সময়মতো ওষুধ দেওয়া, নোংরা কাপড় পরিবর্তন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ খাবার প্রস্তুত, ইনজেকশন দেওয়া, ডায়াপার ও ক্যাথেটার পরিবর্তন প্রভৃতি কার্যক্রম থাকে। বাংলাদেশের কোনো নার্সিং প্রশিক্ষণে বয়স্ক ও চলাচল অযোগ্য রোগীদের সেবা করার বিষয় বিশেষভাবে শেখানো হয় না। এ কারণে অনেক সময় নার্সরা মূমুর্ষু রোগীর ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে সব সেবা দেন না। বিরক্তিকর হওয়ায় নার্সরা হরহামেশায় নোংরা কাপড়, ডায়াপার ও ক্যাথেটার পরিবর্তন করতে অনাগ্রহ দেখায়। একদিকে তাদেরকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এটা শেখানো হয় না, অন্যদিকে তারা এটাকে রোগী সেবায় প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন না। ফলে আমরা কম যোগ্যতাসম্পন্ন ও অযোগ্য লোক দিয়ে এ ধরনের কাজ করাই। এ কারণে উৎকৃষ্ট সেবার পরিবর্তনে রোগীর পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হতে পারে কিংবা প্রশিক্ষিত নার্স না পাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য এটা সুনামহানির হয়। সবচেয়ে খারাপ দিক সমালোচনামূলক হলো, কোনো কোনো সময় নারী নার্সরা কুসংস্কার ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে পুরুষ রোগীদের ঠিকমতো সেবা দিতে চান না। একমাত্র বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এবং নার্স হতে ইচ্ছুক অনেকে দীর্ঘ দুই বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স হওয়ায় সেটাতে অংশ নিতে চান না। আবার ওই কর্মসূচিতে আসন সংখ্যাও, অনেকক্ষেত্রে পুরুষ শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার নেই। এই কর্মসূচিতে এইচএসসি উত্তীর্ণ হতে হয়, যেটা নার্সিং পেশায় আগতদের ক্ষেত্রে এতোটা সাধারণ নয়।

প্রশিক্ষিত নার্সদের জন্য একটা চাকরির পোর্টাল তৈরি করা হবে, যারা বাড়িতে, ক্লিনিকে কিংবা হাসপাতালে রোগী ও বয়স্কদের সব ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকবেন। এককভাবে কোনো রোগী কেমন যোগ্যতার নার্স চাচ্ছেন সেটা কোন কোন প্রয়োজনে সেটা জানাতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রকল্পের আওতায় বিশেষ প্রয়োজনের নিরিখে তাদেরকে স্বল্পসময়ের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। যেটা দুই মাসের দূরবর্তী শিখন কার্যক্রম এবং নারায়ণগঞ্জ পলি ক্লিনিক অথবা পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ দিন হাতে-কলমে মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের জন্য তাদেরকে সনদ দেওয়া হবে। ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে তাদের চাকরি নিশ্চিত করা হবে। কোনো রোগীর চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত নার্স কমপক্ষে দুই বছরের জন্য ওই রোগীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন। তরুণ নার্সদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেহেতু তরুণ ও প্রশিক্ষণহীন নার্সদের জন্য সুযোগ সীমিত, সেহেতু এর মাধ্যমে তারা ভাল বেতনে ভাল চাকরি পাবে। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী রোগীদের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে।