প্রকল্প সমূহ

ই-বালাইনাশক প্রেসক্রিপশন
অনলাইন জিডি এবং লস্ট ও ফাউন্ড সার্ভিস

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ অভিধান


বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা আড়াই লাখে দাঁড়িয়েছে। এর মাঝে বহুসংখ্যক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে, স্বাক্ষর রাখছে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার। এর সঙ্গে অনেক মানুষ আছেন যারা নিরক্ষর হওয়ায় ছাপার অক্ষর দেখে বুঝতে পারেন না। তাদের উপযোগী সহায়ক বইয়ের বড় অভাব, সেক্ষেত্রে অভিধানতো দূরের কল্পনা। এর বিপরীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী অভিধান ও শিক্ষা উপকরণ তৈরি করা হবে এটুআই প্রকল্পের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অভিধান’ প্রকল্পে।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ১৫ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধী, যাদের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা এখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও তাদের জন্য পর্যাপ্ত ও সহজে ব্যববহারযোগ্য শিক্ষা উপকরণ নেই। ব্রেইল পদ্ধতির মতো শিক্ষা উপকরণ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও অভিধানের বিষয়টি এর বাইরে থেকে গেছে। তবে, ডেইজি পদ্ধতি দিয়ে অডিও আর টেক্সটের সমন্বয়ে তাদের ব্যবহার উপযোগী অভিধান তৈরি করলে এই সমস্যা আর থাকবে না।

এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন(ইপসা) দৃষ্টি প্রবিন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী অডিও এবং টেক্সট সমন্বিত বিশেষ অভিধান তৈরি করছে। যেটা আগে তাদের জন্য ছিল না। এতে ছবিসহ ইউনিকোডে টেক্সটে এটা এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে সহজে এটাকে ডেইজি (Digital accessible information systems-DAISY) মানে রূপান্তর করা যায়। পুরোপুরি টেক্সট ও অডিও বইয়ে রূপান্তর করার পাশাপাশি ব্রেইল ও ব্যবহারযোগ্য ই-বুকেও সেটা তৈরি করা হবে। এই ডিজিটাল সব ধরনের ব্যক্তি যারা দেখে পড়তে অক্ষম তাদের কাজে আসবে।