প্রকল্প সমূহ

ওয়েবসাইট স্ক্যানিং এবং সিকিউরিটি সলিউশন
কমদামী ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ
সরকার প্রত্যেকটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এখনো সারা দেশে প্রায় ৯৩০০ টি স্কুল বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকেনা। এছাড়া বিদ্যুতবিহীন এলাকায় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ইকো ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতিষ্ঠান এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড এর মাধ্যমে ‘স্বল্প মূল্য ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ’ নামে একটি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের জন্য একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করে। উদ্যোগটি বর্তমানে বান্দরবনের থানচি, কিশোরগঞ্জের ইটনা, খুলনার বটিয়াঘাটা ও পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া পাইলট আকারে চলছে। ক্রমান্বয়ে সারাদেশে এটা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুসারে মোট জনগোষ্ঠীর ১৫ শতাংশ মানুষ নানাভাবে প্রতিবন্ধী, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দৃষ্টির সমস্যায় রয়েছেন। এ টু আই-এর সহায়তায় ‘ইপসা’ ইতোমধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি করেছে। এর অনেকটা ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপকরণ তৈরির এই প্রকল্প।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের GIS ভিত্তিক অনলাইন ডাটাবেজ
অনলাইনে দেশের ও দেশের বাইরে যে কোন স্থান থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের সব ধরনের সর্বশেষ তথ্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি সম্ভব হলেও সে ব্যবস্থা নেই। ছোট উদ্যোক্তা ও বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য এ খাতের একটি বড় পরিসরের ডাটাবেস তৈরি করলে সেটার অভাব মেটানো সম্ভব।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রংপুর এর লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা
দেশের ৬৪টি জেলা প্রশাসনে শিশু খাদ্য, হার্ডওয়্যার, স্বর্ণ কারিগর ইত্যাদির ক্ষেত্রে ডিলিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। জেলা প্রশাসনের ‘ব্যবসা ও বাণিজ্য শাখা’ যেটার দেখভাল করে থাকে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এ লাইসেন্সের ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় করার এ টু আই-এর প্রকল্প ‘জেলা প্রশাসনের ডিলিং লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণ’। প্রথমে এর কার্যক্রম রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়কে কেন্দ্র করে এগোলেও একই ব্যবস্থাপনা সকল জেলায় কার্যকর করা সম্ভব হবে।
পাট ক্রয় বিক্রয় করার এসএমএস ভিত্তিক-ব্যবস্থা
বিজেএমসি প্রতিবছর পাট মৌসুমে যে পাট কিনে তাতে অনেক সময় কৃষক ন্যায্যমূল্য পান না। অন্যদিকে, পাট ক্রয়-বিক্রয়ে কৃষক ও পাট কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থাও অনেক সময় সহায়ক নয়। মোবাইল অ্যাপস ও এসএমএসের মাধ্যমে পাট ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আসার উদ্যোগ এই প্রকল্প।
বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যাপ্লিকেশন
ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্যের অভাব মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ। যাতে পর্যটন স্পট নির্দিষ্ট করে আবাসন, পরিহন, রেস্টুরেন্ট এবং জরুরি যোগাযোগসহ বিভিন্ন তথ্যের সমাহার ঘটানো হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোশনের প্রায় ভূমিতে প্রায় ৪৫০০ লিজগ্রহীতা বা ভাড়াটিয়া রয়েছেন। আবার নগরবাসীকে কবরস্থান বা শ্মশানের সিটি কর্পোরেশনের অধীন জায়গা থেকে সেবা নিতে হয়। কিন্তু সেবাগ্রহীতাগণ নানা প্রকারের বিড়ম্বনার শিকার হন এবং এক্ষেত্রে তাদের শ্রম, অর্থ ও সময় নষ্ট হয়। এজন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের জমি অটোমেশন সিস্টেমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে ঘরে বসে অনেক সেবা পাবেন নগরবাসী।
জয়: নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে একটি আইসিটি ভিত্তিক টুল
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার সময় “জয়” অ্যাপের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় এবং নির্দিষ্ট এফএনএফ নাম্বারে মোবাইলের জিপিএস ব্যবহার করে লোকেশন, অডিও-ভিডিও রেকর্ড ও ছবি প্রেরণ করা যাবে।
বাংলাদেশের পর্যটন পোর্টাল
বিদেশীসহ সব পর্যটকের একটি বড় অংশ ইন্টারনেট থেকে পর্যটন সংক্রান্ত তথ্যের অনুসন্ধান করেন। কিন্তু বাংলাদেশের এমন নির্দিষ্ট জায়গা পোর্টাল নেই যেখান থেকে সব তথ্য পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ পর্যটন পোর্টাল তৈরি করলে তথ্যের একটি বড় ভাণ্ডার তৈরি হতে পারে।
অসহায় শিশুদের জন্যে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট ব্যবস্থাপনা ও কেস ব্যবস্থাপনার জন্যে অনলাইন সিস্টেম
নিবন্ধন প্রাপ্ত বেসরকারি এতিমখানাসমূহের শিশুদের প্রতিপালন, চিকিৎসা এবং শিক্ষা প্রদানের জন্য ক্যাপিটেশন গ্রান্ট নামে আর্থিক সহায়তা দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। যেটাতে অনিয়মের সুযোগ বন্ধ করতে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এই প্রকল্প।
স্থানীয় আবহাওয়া নির্ণায়ক যন্ত্রের নেটওয়ার্ক সেবা তৈরী
একটি ভাল মানের এবং কম খরচে সারা দেশে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দরকার। যা করতে পারলে সঠিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। এ টু আই-এর ‘স্থানীয় আবহাওয়া নির্ণায়ক যন্ত্রের নেটওয়ার্ক সেবা তৈরী’ শীর্ষক প্রকল্পে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।