প্রকল্প সমূহ

ডিজিটাল ব্রেইল
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ অভিধান

ই-বালাইনাশক প্রেসক্রিপশন


ফসলে সময়মতো কীটনাশক ব্যবহার না করলে কিংবা সেটা ভুলভাবে ব্যবহার করলে কোনো সময় পুরো ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সময়ের অভাবে কৃষক হয়তো কৃষি কর্মকর্তার কাছে যেতেও পারেন না। অনলাইনে বা মোবাইল ফোনের অ্যাপসে বালাইনাশকের তথ্য সবার জন্য সহজগম্য করলে এটা ফসল হানি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সবগুলো রেজিস্টার্ড বালাইনাশকের সমন্বয়ে একটি সফটওয়্যার, ওয়েবপেইজ এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ করবে ‘ই-বালাইনাশক প্রেসক্রিপশন’ প্রকল্প।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণে অনেক সময় ১০০ভাগ পর্যন্ত ফসলের ক্ষতি হতে পারে। পোকামাকড় আক্রমণ করলে সেটা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার হয়। কিন্তু বাংলাদেশে অজ্ঞ কৃষকরা তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য শুরুতে বালাইনাশক বিক্রেতার কাছে যায়। অনেকক্ষেত্রে বালাইনাশক বিক্রেতা সফল সমাধান দিতে পারেন না। কারণ, তারা জানেন না আসলে ওই সমস্যাটার সমাধান কি হবে এবং তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক মানসিকতা বিদ্যমান। অর্থ ও সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের করে এভাবে বালাইনাশক ব্যবহারে না কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে কৃষক উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তার( SAAO) কাছে যান। কিন্তু দেখা যায়, সঠিক তথ্যের অভাবে ওই কর্মকর্তা তাকে সঠিক সমাধান দিতে পারেন না। পরবর্তীত SAAO কিংবা কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য। এরপর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কোনো সমাধান দেন হয়তো, কিন্তু এর মধ্যে সময়তো চলে যায়। ৩ থেকে ৫ মাস জীবনচক্রের ফসলের জন্য এভাবে এই তিনদিন সময় অতিবাহিত হওয়াও ক্ষতিকর। কীটপতঙ্গের আক্রমণ হলে অনেকক্ষেত্রে এক-দুই দিনেই সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে কৃষকের এ ধরনের সমস্যা সমাধানকল্পে সহজে তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া প্রয়োজন।

সবগুলো রেজিস্টার্ড বালাইনাশকের সমন্বয়ে একটি সফটওয়্যার, ওয়েবপেইজ এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হবে। সফটওয়্যার, ওয়েবপেইজ কিংবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে কোনো একটি বালাইনাশকের নাম লিখেই নির্দিষ্ট পোকার জন্য যথাযথ বালাইনাশকের সন্ধান পাওয়া যাবে। এই সফটওয়্যার, ওয়েবপেইজ এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী, দক্ষ বালাইনাশক ডিলার, শিক্ষিত কৃষক যথাযথ কীটনাশক বাছাই করে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। এটা কৃষকের সময় ও ব্যয় কমানোর পাশাপাশি কৃষি অফিসে কৃষকের যাতায়াতও কমাবে। ওয়েবসাইটটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে এবং তারা সেটার দেখভাল করবে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডাউনলোড করা যাবে, যেটা গুগল প্লে স্টোরের পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হবে।